প্রত্যয় ডেস্ক: ইতালিতে বাড়ির বাইরে সর্বত্রই মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। দেশজুড়ে করোনাভাইরাসের বিস্তাররোধ করতেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে ইতালি সরকার। কর্তৃপক্ষ বলছে, নিজের বাড়ি ছাড়া যে কোনো অভ্যন্তরীণ অনুষ্ঠান বা লোকজনের সমাগমেও মাস্ক পরতে হবে। অর্থাৎ ঘর থেকে বাইরে গেলেই প্রত্যেকের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনার উপস্থিতি ধরা পড়ে। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এই প্রাণঘাতী ভাইরাস।
চীনে করোনা ছড়িয়ে পড়ার পরপরই ইতালিতে ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনে এই ভাইরাস। ইতালি যেন এক মৃত্যুপুরী হয়ে উঠেছিল। তবে গত কয়েক মাসের প্রচেষ্টায় করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে ইতালি প্রশাসন। বর্তমানে ইউরোপের অনেক দেশের তুলনায় ইতালিতে করোনা সংক্রমণ অনেক কমতে দেখা গেছে। দেশটিতে সংক্রমণের গতিও অনেকটা ধীর। ইতালির প্রধানমন্ত্রী গিসেপে কন্তে বলেছেন, অর্থনৈতিকভাবে ধ্বংসাত্মক লকডাউনে ফিরে আসা এড়াতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার ছিল।
তিনি বলেন, এখন থেকে বাড়ির বাইরে বের হলে আমাদের সাথে করে মাস্ক এবং সুরক্ষা সরঞ্জাম নিতে হবে এবং তা ব্যবহার করতে হবে। ক্রমাগত আইসোলেশন অবস্থায় না থাকা পর্যন্ত আমাদের অবশ্যই মাস্ক এবং সুরক্ষা সরঞ্জাম পরতে হবে। বিভিন্ন দোকান-পাট, অফিস, গণপরিবহন, বার এবং রেস্টুরেন্টে অবশ্যই মাস্ক পরতে বলা হয়েছে। ইতালির যেসব অঞ্চলে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে সেখানে ইতোমধ্যেই কঠোর বিধি-নিষেধ কার্যকর হয়েছে। যেমন রোমে আগেই কড়াকড়ি শুরু হয়েছে।
তবে নতুন বিধি-নিষেধ নির্দিষ্ট কোনো শহর বা অঞ্চলে নয় বরং সারাদেশেই জারি করা হয়েছে। চলতি বছরের শুরুতেই যখন করোনার হানায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে ইতালি তখনই দেশটিতে কঠোর লকডাউন জারি করা হয়। সে সময় ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ইতালিতেই করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু সবচেয়ে বেশি ছিল।
কিন্তু গত কয়েক মাসে ইউরোপের অন্য যে কোনো দেশের চেয়ে করোনাকে সফলভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে ইতালি। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ৩ হাজারের বেশি আক্রান্তের রেকর্ড হয়েছে-যা গত ২৪ এপ্রিলের পর সর্বোচ্চ।